মলদ্বারে মাংস বৃদ্ধির লক্ষণ কি কি এবং কেন হয়?
মলদ্বারে মাংস বৃদ্ধির কিছু প্রধান লক্ষণ নিম্নরূপ:
- পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়া: পায়খানার পরে টয়লেট পেপার ব্যবহার করলে সেখানে রক্ত লেগে থাকতে দেখা যায়। অথবা কমোডে বা প্যানের গায়ে টকটকে রক্তের লাল ছোপ দেখা যেতে পারে।
- পায়ুপথের মুখের অংশগুলো বেরিয়ে আসা: মলদ্বারে মাংস বৃদ্ধি পেলে মলত্যাগের সময় অ্যানাল কুশনগুলো নরম গোটার মতো বের হয়ে আসে।
- পায়খানার রাস্তায় ব্যথা হওয়া: মলদ্বারে মাংস বৃদ্ধির কারণে পায়খানার সময় বা পরে পায়খানার রাস্তায় ব্যাথা অনুভব হতে পারে।
- পায়খানার রাস্তায় চুলকানি: হঠাৎ মাংস বৃদ্ধির ফলে চুলকানি দেখা দেয়।
- মলত্যাগের অভ্যাসের পরিবর্তন: প্রতিদিনের মলত্যাগের সময়ের পরিবর্তন বা ভিন্নতা দেখা দেবে।
- ঘনঘন মলত্যাগ মল ত্যাগ করার পরো পূণরায় মলত্যাগের বেগ আসছে মনে হবে।
- সব সময় মলত্যাগের ইচ্ছা: মলদ্বারে মাংস বৃদ্ধির ফলে মনে হবে মল বেরিয়ে আসছে, এতে করে শিশুরা বার বার বলে থাকে মলত্যাগ করার কথা।
- মলদ্বার খালি না হওয়া যেহেতু মলদ্বারে মাংস বৃদ্ধি পায়, একারণে মনে হয়ে থাকে মলদ্বারে মল রয়ে গেছে।
- মাজার ব্যথা: অনেকের ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় মাজার ব্যাথা দেখা দিতে পারে।
এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। কারণ বেশি দেরি হলে সমস্যার মাত্রা বৃদ্ধি পাবে এবং জটিল আকার ধারণ করবে।
অনেক আগে থেকেই চিকিৎসকদের কাছে এটি একটি পরিচিত রোগ। এই রোগে রোদির পায়ুপথ ধীরে ধীরে মলদ্বারের বাইরে বেরিয়ে আসতে থাকে। বিশেষ করে যখন পায়খানা করতে যায় তখন মলদারের বৃদ্ধি পাওয়া মাংস বাইরে বেরিয়ে আসে। অনেক ক্ষেত্রে রোগিরা বেড়িয়ে আসা মাংশ আঙুল দিয়ে ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়। কিন্তু এটা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। গ্রামের ভায়ায় এই বেড়িয়ে আসা অংশকে আলিশ (সিলেট), কম্বল (হবিগঞ্জ), আইলতা (বরিশাল) বলে থাকে।
কেন মলদ্বারের মাংশ বাইরে বেরিয়ে আসে?
এই রোগ বা সমস্যা শিশু এবং বয়ষ্ক লোকদের বেশি হয়ে থাকে। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। শিশুদের ক্ষেত্রে ডায়রিয়া হলে এবং দীর্ঘদি স্থায়ী হলে এমন সমস্যা দেখা দেয় বেশি। তলপেটের গঠনগত কারণে এমন সমস্যা হয়ে থাকে সাধারণত। রেকটাম বা পায়ুপথ অন্যান্য মাংশপেশির সাথে আঁকরে থাকে। অধিক চাপ বা প্রেসারের জিনিস উঠা নামা করার কাজ দীর্ঘদিন করলে মলদ্বারের মাংশ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে পারে। অনুরূপ যে সকল নারীরা মাজায় বা কোমরে অধিক ভার বহন করেন তাদের ক্ষেত্রেও এমনটি দেখা দেয়।
গবেষণায় দেখা যায় মানবিক অবসাদগ্রস্থ বা মানসিক রোগিদের মধ্যে এই রোগ সর্বাধিক দেখা দেয়।
Social Media Icons