কোভিড ১৯ অনুচ্ছেদ
কোভিড ১৯ এর ০৩টি অনুচ্ছেদ নিচে তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিটি অনুচ্ছেদেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তাছাড়া শেষের অর্থাৎ ৩য় অনুচ্ছেদটি অনেক বেশি সহজ ভাষায় লেখা হয়েছে, এটি ৩য় থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য অধীক পছন্দসই হবে।
কোভিড ১৯ অনুচ্ছেদ (১)
কোভিড-১৯ সারস কোভ-২ নামক নোভেল করোনা ভাইরাস দ্বারা সৃষ্টি হয়ে থাকে। এটি ২০১৯ সালে প্রথম মানবজাতিকে সংক্রমিত করেছে এবং মারাত্মক শ্বাসতন্ত্রের রোগ হিসেবে আবির্ভূত হয়। কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে বিভিন্ন ধরণের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম জ্বর, শুকনো কাশি, ক্লান্তিভাব, স্বাদ ও গন্ধ না পাওয়া, পেশি ব্যথা, মাথাব্যথা, বমি, ডায়রিয়া ইত্যাদি। এছাড়াও কিছু লোকের ক্ষেত্রে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ার সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। আক্রান্ত ব্যাক্তির দেহে কয়েক দিনের মধ্যে লক্ষণ দেখা দিতে পারে আবার কয়েক সাপ্তাহের মধ্যেও লক্ষণ প্রকাশ নাও হতে পারে। আবার কোনো কোনো রোগির মধ্যে কোনো প্রকার উপসর্গ দেখা যায়নি অথচ দীর্ঘদিন যাবৎ কোভিড ১৯ এ ভুগছেন। যদি কেই আক্রান্ত হয়ে পড়েন তাহলে অন্যদের থেকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে চলচে হবে। কেননা এটি একটি ছোয়াচে রোগ। সুস্থ কোনো ব্যাক্তি যদি আক্রান্ত ব্যাক্তির সংস্পর্ষে আসেন তাহলে তিনিও আক্রান্ত হতে পারেন। সম্ভাব্য লক্ষণ রয়েছে এমন ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টিনে (আলাদা) রাখত হবে। সংক্রামণ এড়াতে সামাজিক দূরত্ব, বাইরে থাকাকালীন মাস্ক পরিধান করা, বারবার সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোঁয়া অথবা হ্যান্ড-স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কার করা সহায়তা করতে পারে। এছাড়া, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করে, বেশি বেশি পানি পান করে এবং কিছু হালকা ব্যায়াম করে আমরা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারি।
কোভিড ১৯ অনুচ্ছেদ (২)
কোভিড-১৯, অথবা করোনাভাইরাস রোগ ২০১৯, মানুষের একটি সংক্রামক ব্যাধি যা গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস ২ (সার্স-কোভ - ২) নামক এক ধরনের ভাইরাসের আক্রমণে হয়। এই ব্যাধিটি সর্বপ্রথম ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনে শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ২০২০ সালের প্রারম্ভে ব্যাধিটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এবং বৈশ্বিক মহামারীর রূপ ধারণ করে।
কোভিড ১৯ অনুচ্ছেদ (৩)
কোভিড-১৯ হলো একটি মারাত্মক ছোঁয়াছে রোগ। এই রোগের লক্ষণসমূহে জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা-ব্যথা, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, স্বাদ ও গন্ধ হারিয়ে যাওয়া, বমি, ডায়রিয়া প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত। এই রোগে মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটে। সারাবিশ্বে এখন কোভিড-১৯ দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা এই রোগের টিকা আবিষ্কারের জন্য কাজ চালিয়েছেন এবং বেশ কয়েকটি দেশ সফল হয়েছে। ফলে বর্তমানে ভ্যাক্সিন গ্রহণ ও নিয়ম মেনে চলার মধ্য দিয়ে আল্লাহর রহমতে কোভিড ১৯ কে মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে।
Social Media Icons